নারীবাদ কি

এখন কার সময় নারীবাদ নিয়ে সচেতনতা যেমন বেড়েছ তেমনি এ সম্পর্কে আলাপ আলোচনা যথেষ্ট হচ্ছে। নারীবাদ এমন এক শক্তি বা বিশ্বাস যা নারী জাতিকে একটি আত্মসচেতন সামাজিক শ্রেণীতে পরিনত করেছে।

একজন মানুষ হিসেবে নারী তার পূর্ণ অধিকারের দাবি হল নারীবাদ। বিশ্বজুড়ে যে লিঙ্গ ভিত্তিক শ্রম বিভাগ পুরুষের উপর রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি এসব সামাজিক পরিমন্ডলের দায়িত্ব অর্পণ করে।

নারীবাদ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ Feminism. Feminism শব্দটি ফরাসি শব্দ Feminism থেকে এসেছে। Femme অর্থ নারী is me অর্থ মতবাদ। ১৮৮০ এর দশকে ফ্রান্সে শব্দটি গৃহীত হয়। পরে ইংরেজি ভাষায় গৃহীত হয়।

বাংলাদেশে নারীবাদের ইতিহাস খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত একটি বিষয় তবে পৃথিবীর পৃথিবীর অন্যান নারীবাদের তুলনায় একটু ভিন্ন। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের নারীদের বহুল আলোচিত প্রপঞ্চটি হচ্ছে “নারীর ক্ষমতায়ন” কেবল মানবেতর অবস্থা থেকে নারীর মুক্তি বা নারীর উন্নয়নের জন্য নয়, নারীর সমাজিক উন্নয়নের সূচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। “নারীর ক্ষমতায়ন” বিভিন্ন রকমের হতে পারে। পারিবারিক, সামজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি নানা স্তরে এর প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু বাস্তবতা যে চিত্র বেরিয়ে আসে তা পুরোপুরি বিপরীত বরং প্রত্যেক জায়গায় পিছিয়ে পরে আছে। তাই বর্তমানে বাংলাদেশের নারীবাদীরা যে আন্দোলন শুরু করেছে তার অর্থটা একটু ব্যাপক। তবে পৃথিবীর অন্যান দেশের আন্দোলনের এ প্রভাবও রয়েছে এ দেশে।

উপমহাদেশে পারিবারিক নির্যাতনের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে নারীর উপর পারিবারিক নির্যাতনের সূচনা এবং তার বিরুদ্ধে নারীবাদ আন্দোলন এর সূচনা ঘটিয়েছে। অঞ্চল সম্প্রদায় ভেদে এর বাহ্যিক রূপের হেরফের ঘটলেও অন্তর্নিহিত রুপের কোন তারতম্য ঘটেনি। পারিবারিক কাঠামতে প্রতি পদে পদে পুরুষতান্ত্রের নারীর পায়ে নির্যাতনের বেড়ি পরিয়েছে কখনো ধর্মের নামে, কখনো সমাজের নামে, কখনো বেহেশত বা স্বর্গে লোভ দেখিয়ে। এছাড়াও রয়েছে জঘন্য সমাজিক কুসংস্কার এ দেশের নারী সমাজকে পদদলিত করেছিলো। যেমন সতীদাহ প্রথা, বিধবা বিবাহ ইত্যাদি। এর জন্যই এ দেশে নারীবাদ ও নারীবাদীর জন্ম হয়। বর্তমান যারা ঘোর বিরোধী এখানকার পুরুষ সমাজ ও তথাকথিত কাঠমোল্লারা।

নারীবাদ সাক্ষাৎকার পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রীকতার পুনরাবির্ভাবের জন্য প্রদও যুক্তি সমূহ সাক্ষাৎকার, পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত ধরনাকে প্রভাবিত করেছে। ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিককে বিশ্লেষণ করেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে সকল কে সজাগ ও সচেতন হতে হবে।

10 Responses

  1. নারীরাই সমাজের সকল সমস্যার মুলে

  2. আপনার মত আমারও অনেক কিছু বলতে ইচ্ছা করে।

  3. নারিবাদিতা আসলে অশ্লীলতা শিখায়

  4. তসলিমার কি হয়েছিল মনে আছে?

  5. সাহসের সাথে সত্য বলেছেন আপা।

  6. নারীবাদীরা সমাজের কলঙ্ক

  7. নারীদের সঠিক সম্মান পেতে হলে ইসলাম ধর্মে আসতে হবে।

  8. এদেশ নারীবাদীদের অনেক আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে।

  9. লেখাগুলো যেন আমার মনের কথা আপা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *