.
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক কামরুল ইসলাম অন্য শিক্ষকসহ নির্যাতিতার বাবাকে মারধর করে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাথিয়ারা ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক কামরুল ফেনী সদর উপজেলার পশ্চিম ছনুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
.
পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাটিয়ারা ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক কামরুল ইসলাম এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর মাদ্রাসা সুপার, মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ছেলেটির বাবা একত্রিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় তালা দিয়ে মারধর করে। পরে এমন কোনো কাজ করবেন না বলে স্ট্যাম্পে লিখে মাদ্রাসা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে এই মাদ্রাসায় ধর্ষণের ঘটনায় এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
.
তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে খুলনা নগরীর শহীদ শেখ আবু নাসের দাখিল মাদ্রাসার সুপার (প্রধান) হাসিবুর রহমান হাসিবকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সৈয়দ আলী হোসেন সড়কের নিজ বাড়ি থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সকালে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। শিশুটি বর্তমানে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে।
.
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শিশু ও তার ভাই প্রতি রাতে প্রাইভেট পাঠের জন্য হুজুরের বাড়িতে যেতেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি পড়তে গেলে হুজুর শিশুটির ভাইকে ওযু করতে পাঠান। তাকে একা পেয়ে তিনি শিশুটিকে শ্লীলতাহানি করেন। শিশুটি বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তার মাকে সব খুলে বলে। ওই দিন রাতে ওই শিক্ষকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
সোনাডাঙ্গা থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার মিত্র জানান, সকালে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলা হয়েছে। আসামিকে বিকেলে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
.
রাঙামাটিতে দুই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার
তৃতীয় শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার লংগাদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের রাজনগর মুহাম্মদিয়া জামিয়া শরীফ নামের একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। যার পৃষ্ঠপোষকতা ঢাকার রাজারবাগ দরবার শরীফ।
.
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ফারুক (৭০)। তিনি কয়েক বছর ধরে এই মাদ্রাসায় বাংলা বিষয় পড়াচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা আরও জানান, তিনি গুলশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।
.
পটুয়াখালীর বাউফল এলাকায় ধর্ষণের পর অসুস্থ হয়ে পড়া মো. রাফি (১৩) নামে এ হাফেজী মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বোরা দালিমা মদিনাতুল উলুম কওমী হাফেজী ও নূরানী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ সেলিম গাজী রাফিকে খারাপ প্রস্তাব দেন। রাফি রাজি না হলে তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক রাফিকে ধর্ষণ করেন।
.
গাইবান্ধার সাঘাটায় দশ বছরের এক হাফেজী মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ওয়াছিম মিয়া নামে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
.
শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ছাতকল্পানি ইউসুফ-জোবেদা হাফেজী মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।
.
গ্রেফতারকৃত শিক্ষক ওয়াছিম মিয়া উপজেলার কমলেরপাড়া ইউনিয়নের কৈচড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে।
.
রাজধানীর কামরাঙ্গীচরে হাফেজ শরিফুল ইসলাম (১৪) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পূর্ব রসুলপুরের মক্কা টাওয়ারের ৯ নম্বর স্ট্রিটের ৬ষ্ঠ তলার নিজ ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। তিনি গত শুক্রবার স্থানীয় নুরিয়া মাদ্রাসা থেকে হাফেজী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাগড়ী পান।
খবর পেয়ে কামরাঙ্গীচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাধা বর্মন পূর্ব রসুলপুরের নিজ বাড়ি থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে তাকে পরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির সময় পুলিশ কর্মকর্তা জানতে পারেন, শরিফুলকে আগে মলদ্বার ও মলদ্বার দিয়ে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে বিশ্বাস করে যে শরিফুল আত্মহত্যা করেছে কারণ সে যে হয়রানির শিকার হয়েছিল বা তার শিকার হয়েছিল সে সম্পর্কে সে কাউকে বলতে পারেনি এবং নিজের জন্য এতটাই লজ্জিত ছিল যে সে হতাশ হয়ে পড়েছিল।
13 Responses
কি আবোল তাবোল বলছেন?
মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়, এসব হয় না।
আজাইরা গাঁজাখুরি গল্প জুড়ে দিচ্ছিস কেন?
মাদ্রাসা আছে বলেই আমাদের সমাজে এখনও ধর্মীয় শিক্ষা পাওয়া যাচ্ছে।
মাদ্রাসা নিয়ে উল্টাপাল্টা বলবেন না।
মাদ্রাসার পেছনে কেন লেগেছেন বলেন তো দেখি?
তোকে কি কেউ মাদ্রাসায় নিয়ে পুন্দাইছিলো?
একদম সত্য বলেছেন।
বাংলাদেশ থেকে এই মাদ্রাসা কালচার তুলে দেওয়া দরকার।
মাদ্রাসায় এসব হয় না বলেই আমি জানি। আমি নিজেও মাদ্রাসায় পড়েছি।
আমাদের সময় এগুলো হতো না।
কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষের জন্য গোটা মাদ্রাসা কে দোষারোপ করা উচিত নয়।
মাদ্রাসার মুখোশ উন্মোচন করার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই।