বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছে ইসলামী চেতনা

1947 সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতার চেয়ে দ্বি-জাতি তত্ত্ব বড় হয়ে ওঠে। অনেক মুসলমান স্বাধীনতার পর হিন্দুদের সাথে একই দেশে থাকতে চায়নি। এ কারণে দুটি পৃথক দেশ তৈরি হয়।

সেই দ্বি-জাতি তত্ত্বের চাপে ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্ন নিয়ে আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

স্বাধীনতার কিছুদিনের মধ্যেই অসাম্প্রদায়িক স্বপ্ন ও চেতনাকে থাম্বস আপ দিয়ে ঘোষণা করা হয়, আগে আমরা বাঙালি, তারপর আমরা মুসলমান। ধর্ম ও বর্ণ তত্ত্বের বিভাজন শুরু হয়। সেই বিভাজনের বিষে জাতির জনক ও প্রথম রাষ্ট্রপতিকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।

পরবর্তী সরকারগুলো সেই বিষ পাকিস্তান থেকে আমদানি করে বাংলাদেশ নামক লাল-সবুজ দেশটির প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে। দেশের মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছিল। সংবিধান থেকে অসাম্প্রদায়িকতা ভেসে গেছে। এর স্থলে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ স্থান করে নিয়েছে। পরম করুণাময়, অসীম করুণাময় আল্লাহর নামে ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতার চাষ শুরু হয়।

পরবর্তী সরকার আরও একধাপ এগিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকে মাধ্যম হিসেবে দেখিয়ে রাষ্ট্রের সুন্নাহকে খতনা করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে।

তারপর একের পর এক সরকার এলো, ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা পানি, সার, বেড়া দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার চারা রক্ষা করেছে। তারা তাদের বিশাল বটবৃক্ষে পরিণত করেছে। যার জন্য জঙ্গিবাদ মাথা তুলেছে, সংখ্যালঘু নিপীড়ন লাগামহীন হয়ে পড়েছে। মুক্তচিন্তার মানুষকে কেটে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক থেকে শুরু করে বাউল এমনকি গির্জার পিতা, মঠের সন্ন্যাসী, মন্দিরের পুরোহিতদের প্রতি মাসে হত্যা করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছেন না শান্তিকামী ধর্মনিরপেক্ষ ইসলামী পণ্ডিতরাও।

ধর্মীয় অন্ধত্বের চাপে অন্ধ জাতি আজ বেগম রোকেয়াকে চেনে না। বেগম রোকেয়াকে বেগম পত্রিকার প্রথম সম্পাদক নূরজাহান বেগমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এখানে, তাদের মিশ্র নাম রয়েছে, তারা বেগম এবং বেগমের মধ্যে মিল দেখেছেন।

আমাদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও নূর মোহাম্মদকে চেনে না। তাদের কাছ থেকে আমরা কী ধরনের পরিকল্পনা আশা করতে পারি?

সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ আর সাতজন রাজাকারকে পাশাপাশি রেখে জনপ্রিয়তার ভোট ধরুন। দেখবেন রাজাকাররা বিপুল ভোটে জয়ী হবে। আপনি আরও দেখতে পাবেন যে বেশিরভাগ লোক বীরশ্রেষ্ঠকেও জানেন না। তারা রাজাকারদের ভালো করেই জানে, কারণ তারা ধর্মের মানুষ, সাম্প্রদায়িকতার বৃক্ষের রক্ষক, সাম্প্রদায়িকতা শেখানোর শিক্ষক।
সেই সাম্প্রদায়িকতার শিক্ষায় শিক্ষিত! মানুষ আজ গর্ব করে বলে, এক হাজার ১৬ ডিসেম্বরের চেয়ে এক জুম্মার উত্তম!

সাম্প্রদায়িকতার বীজ আজ গভীর থেকে গভীরে পৌঁছেছে। আমরা এখন আবার জাত তত্ত্বে বিশ্বাসী হয়েছি। তাই আমরা হিন্দু, সাঁওতাল, খ্রিস্টান, পাহাড়ি, উপজাতীয়, বৌদ্ধদের পিটিয়ে, পুড়িয়ে দেশত্যাগ করে ১০০% ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছি। এই সুযোগে কোনো সাম্রাজ্যবাদী বাংলাদেশ দখল করলে তার দায়ভার আমাদেরই হবে। অসাম্প্রদায়িক থেকে সাম্প্রদায়িক আমাদের বিবর্তনে। সেই সময় সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছিল ব্রিটিশরা। নিপীড়িত হিন্দুরা তখন ভেবেছিল যে বিদেশী ইসলাম প্রচারকারীরা মুসলমানদের শোষণের চেয়ে বাঙালিদের শোষণ করাই উত্তম। ভবিষ্যতে এরকম কিছু হলে তার দায়ভার আমাদেরই থাকবে। দেশ আবার পাকিস্তান হয়ে গেলে বা আজও এই পাকিস্তান আদর্শের দায়ভারও আমাদেরই বর্তাবে।

17 Responses

  1. মোটেও না। ইসলাম একটি প্রকৃতপক্ষে শান্তির ধর্ম

  2. আজাইরা কথা বলা বন্ধ কর শালি চুতমারানি

  3. তোর গুদে তো মনে হয় অনেক জ্বালা তাই না? দেশে চলে আয় তারপর তোর গুদের জ্বালা আমরা ভালো করে মিটিয়ে দিবো ।

  4. ইসলাম নিয়ে বাজে বকবি না কুত্তী রেন্ডি মাগি

  5. লেওড়াচুদি, তোর সময় কিন্তু ঘনিয়ে আসছে।

  6. ইসলাম নিয়ে আর আমার বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা কথা বলবে আর এমনি এমনিয়ে ছেড়ে দিবো? তোরে সামনে পাইলে কিন্তু একদম জবাই করে দিবো।

  7. তোর মতো নাস্তিকদের কারনে আজ ধর্ম প্রায় বিলুপ্তির পথে, কেয়ামত চলে এসেছে

  8. তুই তোর মরণের জন্য নিজেই দায়ী থাকবি। এখনও সময় আছে লেখালেখি বন্ধ কর খানকির বাচ্চা

  9. একবার দেশে আইসা আমারে ডাক দিস, তারপর বুঝাব মজা

  10. এটা আমার পড়া আপনার প্রথম লেখা, খুব ভালো লিখেছেন।

  11. তুই দেশে আসলে তোড়ে ইচ্ছামতো কোপাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *